চাঁদপুর শহরের ১০নং চৌধুরী ঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় স্থানীয়দের চেষ্টায় রক্ষা পেলো দেড় শতাধিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। গতকাল ২১ মার্চ সোমবার দুপুর দেড়টায় এ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ১০নং চৌধুরী ঘাট ডিসি মার্কেটের গার্ডেন আবাসিক হোটেলের পেছনে স্বপনের গোডাউন থেকে অগ্নিকাণ্ড সূত্রপাত হয়। পালবাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী স্বপনের এ গোডাউনটিতে ভাড়া নিয়ে প্লাস্টিকের ফলের ট্রে ও খালি তেলের ড্রাম রেখেছিলো। দুপুর দেড়টায় গোডাউনটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এ গোডাউনে বিদ্যুতের সংযোগ ছিলো না। ধারণা করা হচ্ছে সিগারেট বা মাদক সেবন করে তার অংশবিশেষ ফেলে যাওয়ায় অগ্নিকাণ্ড সূত্রপাত হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, আচমকাই অগ্নিকাণ্ড ফলে মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আগুনের তাপ এতোটাই ছিলো যে, স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় বেগ পেতে হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ তাৎক্ষণিক আগুন নিভানোর গ্যাস স্প্রে করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। পরবর্তীতে পানির পাম্প ছেড়ে ও বালু নিক্ষেপ করে স্থানীয়রা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
এদিকে চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক সাইদুল ইসলাম ৪টি ইউনিট নিয়ে দুপুর ২টায় ঘটস্থলে আসে। কয়েক মিনিট পানি দিয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিভিয়ে দেয়।
চৌধুরী ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার বলেন, স্বপনের গোডাউনের সামনে কেউ হয়তো সিগারেটের অংশ ফেলে যাওয়ায় এ অগ্নিকাণ্ড সূত্রপাত। তবে এতে ৫টি দোকান ভস্মিভুত হয়েছে ও ১০/১২টি দোকান আগুন নিভাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২০ লাক্ষ টাকা বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যদি দ্রæত ছুটে এসে জীবনের ঝুঁকি না নিতো, তাহলে আজকে ১০নং চৌধুরী ঘাটের ডিসি মার্কেটের দেড়শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যেতো। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : ইউসুফ গাজীর ২টি দোকান, স্বপনের ১টি দোকান, ইউনুস মাঝির ১টি দোকান ও পাল বাজারের ব্যবসায়ীর আরো ১টি দোকান।