গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সভা। খুব শীঘ্রই ঘোষিত হতে যাচ্ছে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি। কে হবে সভাপতি! কে হবে সাধারণ সম্পাদক! এই নিয়েই সরগরম ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সরকারি কলেজ। জেলায় অবস্থিত এ বিশ^বিদ্যালয়টি যে কোন ছাত্র সংগঠনের প্রাণ কেন্দ্র। এখানের রাজনীতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এখানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন থাকবে এমনটাই চান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীরা চাঁদপুর বিশ^বিদ্যালয়ের দর্শণ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ সাইফ হোসাইনকেই যোগ্য মনে করেন। সুদর্শন এই তরুন তার নম্র, ভদ্র ও পরিপাটি বাচনভঙ্গির জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়।
সাইফ হোসাইন বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম এনামুল হক মজুমদারের সন্তান। বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। ২০১৩ইং সাল থেকেই সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০১৪ সালে আলআমিন স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। ছাত্রলীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সাইফ। ২০১৪ইং সালে দেশজুরে বিএনপি জামায়াতের পেট্রোল বোমা ও সহিংসতা রোধে পৌরছাত্রলীগের নেতৃত্বে সক্রিয় ভূমিকা পালন, ২০১৫ইং সালে চাঁদপুর পৌরসভা, ২০১৮ইং সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করে ছাত্র নেতা সাইফ।
২০১৭ ইং সালে চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ৪ ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সাইফ। বড় ভাই সাআদ হোসেন একজন ব্যবসায়ী। মেঝোভাই সাজ্জাদ হোসেন চাঁদপুর সরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। সেজো ভাই শাখাওয়াত হোসেন চাঁদপুর বিতর্ক আন্দোলনের সাবেক সভাপতি এবং পিক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের পরিচালক। বোন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকে কর্মরত। বোন জামাতা ডাঃ ইমরান হোসাইন খান হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন।