হাইমচর উপজেলার ৮নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম নিজের ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গড়ে তুলেছেন বসতঘর!
হাইমচর উপজেলার ২ নং আলগী উত্তর ইউনিয়নের রায়ের বাজারে স্থাপিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রায় ২৬৭ জন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য ২য় তলায় ৩ টি ও নিচতলা ক্লাস উপযোগী ১ টি কক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বারন সত্তে¡ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে শ্রেণিকক্ষ দখল করে থাকার ব্যবস্থা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের ভেতরে খাট, ফ্রিজসহ নানান আসবাবপত্র রয়েছে। এ ব্যাপারে এক অভিভাবক সদস্য জানান, আমরা প্রধান শিক্ষককে বারবার চলে যেতে বললেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে যদি কিছু একটা হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানান, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতির অনুমতি ক্রমে স্টোর রুমে থাকছি। আমি এখান থেকে কিছু দিনের মধ্যে চলে যাবো। শ্রেণিকক্ষে বসবাসের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবগত রয়েছেন। আমি তাকে জানিয়ে এখানে ছিলাম। আমি চলে যেতাম আরো আগে। রাস্তার পাশে ড্রেন থাকায় মালামাল নিয়ে যেতে পারিনি।
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিজানুর কর্মরত সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেয়া শিক্ষক আসবাবপত্র নিয়ে স্কুল ত্যাগ করার জন্য আমাকে কোনো প্রকার অবগত করেনি। বরং এ বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে ডেকে এনে তার কাছে জেনে আপনাদের জানাবো।
হাইমচরের ৮ নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য ও সুধি সমাজের মাঝে একই প্রশ্ন এতোদিন কোন আইনে বিদ্যালয়ের কক্ষ দখলে করে রেখেছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় সে অপরাধী কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে সমাজে সচেতন জনতা জানতে চান।