১ ঘণ্টায় যদি বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব না হয়, তাহলে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং বাস্তবায়ন করা হবে। এলাকাভিত্তিক ঘোষণা দিয়ে জানানো হবে কখন বিদ্যুৎ থাকবে না। ১৮ জুলাই সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কিন্তু চাঁদপুর শহরে এই নির্দেশনা মানা হয়নি। বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, চাঁদপুর একেক এলাকায় একাধিকবার এবং টানা ৪ ঘন্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি ছিলো চাঁদপুর শহর জুড়ে। সরকারের নির্দেশনা সারাদেশের জন্য থাকলেও চাঁদপুরে নিজস্ব নিয়ম নীতির মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। চাঁদপুর শহরের বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি দেখে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে গ্রামে কম হলেও শহর অঞ্চলের অধিকাংশ কাজ বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। এখানে ঘোষণা ছাড়া ৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন গ্রাহকদের।
চাঁদপুর জেলা সদরে গণমাধ্যমে কাজ করেন কমপক্ষে শতাধিক সাংবাদিক। এছাড়াও স্থানীয় দৈনিক রয়েছে কমপক্ষে দেড় ডজন। সংবাদ মাধ্যমও একটি শিল্প। বিশেষ করে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রেরণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। যখনই কোনো ঘটনা, তখনই সংবাদ প্রেরণ করতে হয়। এখন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রতিযোগিতামূলক।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা সদরে কাজ করেন এবং উপজেলা থেকে সংবাদ প্রেরণ করেন একাধিক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুতের কারনে সংবাদ পাঠানো সম্ভব হয়নি। সংবাদ টাইপ করার জন্য কয়েক ঘন্টা বসে থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমই নয়, দেশের অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে পড়বে। কারণ ডিজিটাল এ যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানই অচল।
ভুক্তভোগীদের দাবি, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চাঁদপুর সরকারি নির্দেশনা মেনে চাঁদপুর শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে কমপক্ষে গ্রাহকদের প্রস্তুতি ঠিক রাখতে পারবে।
