হাজীগঞ্জে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া শিশু রিয়া ও ইভাকে উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ২০ জুলাই বুধবার দুপুরে তাদের উদ্ধার করে শিশুদের মা, বাবা ও বর্তমান লালন পালনকারী দু’ পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ। তিনি জানান, শিশুর বাবা ও মাসহ উভয় পক্ষকে বসে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নতুবা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, গত দেড় বছর আগে শিশুদের মা জান্নাত বেগমকে না জানিয়ে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া ৪০ হাজার টাকা ও ঋণ পরিশোধে দু’ কন্যা শিশুকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় বাবা এমরান হোসেন। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে ছোট মেয়ে দেড় বছরের শিশু রিয়াকে ৪০ হাজার টাকা ও
ঋণ পরিশোধে বড় মেয়ে ৩ বছরের শিশু ইভাকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তিনি হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের মিজি বাড়ির বাসিন্দা। পেশায় বেকারী বিস্কুট উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী। এদিকে শিশু বিক্রির ঘটনাটি আরো দেড় বছর আগে ঘটলেও স¤প্রতি বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে তা জানাজানি হয়। এরমধ্যে ১৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে এমন তথ্য পেয়ে সংবাদকর্মীরা মেয়েটির মা জান্নাত বেগমের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জানার পর শিশু দু’টি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ। জানা গেছে, এমরান হোসেন দু’ বিয়ে করে। পরিবারের অভাব-অনটন থাকার কারনে দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত বেগমকে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করতে পাঠান তিনি। আর তার দু’ শিশু সন্তানকে প্রথম স্ত্রী ইয়াছমিনের কাছে রেখে দেয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত বেগমকে না জানিয়ে ৪/৫ দিন আগ-পর করে দু’ শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।