ফরিদগঞ্জে প্রায় সময়ে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই বিক্রয় হয় বন বিভাগের গাছ। এ যেনো এক হরিলুট অবস্থা বিরাজ করছে। গাছ ক্রয়কৃত ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, নগদ টাকা দিয়ে গাছ ক্রয় করা হয়েছে বন কর্মকর্তার কাছ থেকে। তথ্য নিয়ে দেখা যায় কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই গাছ বিক্রয় করছে বন কর্মকর্তা। এদিকে সেই টাকার ভাগ নাকি দিতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকেও। এমনটি বললেন, বন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ। সারাদেশের ন্যায়ে সিত্রাংয়ে সড়কের উপর হেলেপড়া গাছনিয়েও বাণিজ্য করে চলছে।
২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জÑচান্দ্রা সড়কের পাশের্^ মেহগনী ও রেইনট্রী গাছ কেটে নিচ্ছে স্থানীয় মফিজুল হক খন্দকার নামে এক ব্যক্তি। এ সময় তাকে গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি জানান, আমি বন কর্মকর্তাকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে গাছ কিনে নিয়েছি, তাই কাটছি। কেটে নেয়ার জন্য অনুমতি রয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই যাচ্ছি অফিসে। অতঃপর অফিসে এসে তালা ঝুলতে দেখি। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা মেলে বন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদের সাথে। তার কাছে টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভাগ সবাইকে দিতে হয়, টাকা একা খাই না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদে আরো বলেন, গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রস্তুত করা হচ্ছে। ৬ হাজার টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা সবাইকে ভাগ দিয়ে খেতে হয়, আমি একা খাই না।
এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা বলেন, আমরা চিত্রাং-এর কারনে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ কর্তানের জন্য বন বিভাগকে বলেছি। কিন্তু কোনো ভালো গাছ কাটার বা বিক্রয় করার অনুমতি দেয়া হয়নি। যদি করে থাকে তাহলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।