লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে সাগর নামে একজন প্রতারকের হয়রানিতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়, সাইফুল ইসলাম সাগর রায়পুর থানার ২নং উত্তর চরবংশী ইউপি ১নং ওয়ার্ডের জিরাতী বাড়ির মৃত ফরিদ জিরাতীর মেয়ে ইয়াছমিনের স্বামী।
কিন্তু সাইফুল ইসলাম সাগর মূলত হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তার নাম সাগর শীল। সে পুরান বাজার ২নং ওয়ার্ড মধ্য শ্রীরামদীর রামা চন্দ্র শীলের ছেলে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, সাগর দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ এই এলাকায় বসবাস করে আসছে। যার সুবাদে এলাকার সকল সাধারণ মানুষের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুযোগে সাগর নামে বেনামে বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও সরকারি ভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেওয়ার কথা বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও শশুর বাড়ির বিক্রয়কৃত সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
ভুক্তভোগী কুরছিয়া বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে সাগর আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার নেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সাগরের কাছে ঘরের কথা বললে সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি অসহায় মানুষ।
ভুক্তভোগী মোঃ মোস্তফা জিরাতী বলেন, মৃত ফরিদ জিরাতীর বিক্রয়কৃত সম্পত্তি এখন তার পরিবার আমার জায়গায় দাবি করে আসছে। তারা সাগরের ইন্দনে আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করে। আমার সকল ধরনের দলিল পথ থাকার পরেও তারা কোর্টের মাধ্যমে আমার নামে মামলা করে। এবং সাগর বিভিন্ন সময় আমাকে মারার হুমকি দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ২২ নভেম্বর সকাল ১০টায় আমার উপর হামলা চালায়। এবং পরবর্তীতে সে থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। আমিও থানায় একটি পাল্টা অভিযোগ করেছি।
এছাড়াও ভুক্তভোগ শারমিন আক্তার, মানিকসহ এলাকাবাসী তার নামে অভিযোগ করে বলেন, সাগর মূলত একটি হিন্দু পরিবারের সন্তান। হিন্দু অবস্থায় সাগর ইয়াছমিনের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পরে তাদের বিয়ে হয়। এতে আমরা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। কিন্তু সাগর দিন দিন এলাকার বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করা আমরা তার উপরে অতিষ্ঠ। সাগর এলাকা বিভিন্ন সময় শিক্ষামন্ত্রী ও সুজিত রায় নন্দীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে। এতে করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সাগরের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাজীমাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান তদন্তে আসেন। তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি দু পক্ষের মারামারি ঘটনা শুনে এখানে তদন্ত এসেছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এছাড়া যদি সাগরের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।