হাজীগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সূলভ মূল্যে চাউল পাচ্ছে ৭ হাজার ২শ’ ৬৬ জন ভোক্তা। হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট ২০ জন ডিলারের কাছ থেকে এসব ভোক্তা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাউল নিচ্ছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২০ জন ডিলারের অধীনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাউল পাচ্ছে ৭ হাজার ২ শ’ ৬৬ জন ভোক্তা। এসব কার্ডধারী ভোক্তা চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এ চাউল পাচ্ছে। ভোক্তারা সঠিকভাবে চাউল পাচ্ছে কি না, এ জন্য হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে ২০ জন ট্যাগ অফিসার নিয়োজিত রয়েছে। এসব কর্মকর্তারা প্রতিমাসে উপস্থিত থেকে চাউল বিতরণ করবেন। তবে এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অনেক ট্যাগ অফিসার চাউল বিতরণের সময় উপস্থিত না থেকে তার একজন প্রতিনিধি বিতরণস্থলে পাঠিয়ে থাকেন।
সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, ১ জন কার্ডধারী ভোক্তা বছরে ৩ থেকে ৬ মাস প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে ৩শ’ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি চাউল পাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই কার্ডধারী ব্যক্তির স্বচ্ছলতা ফিরে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ১ জন ভোক্তা ১টি কার্ড দিয়ে সরকারের নির্দেশক্রমে বছরে এ সুবিধা পাবে। এ পর্ষন্ত ২০ জন নিয়োগকৃত ডিলারের মধ্য ১৯ জন ডিলার চাউল উত্তোলন করেছে। বাকি ১ জন মাস শেষ হওয়ার পূর্বেই ওই ডিলার চাউল উত্তোলন করবেন বলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে।
তবে কিছু কিছু ইউনিয়নের ডিলার ভোক্তাদের ওজনে কম দিয়ে থাকেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকেই দায়ী করছেন কার্ডধারী ভোক্তারা। কিছু ট্যাগ অফিসারের সামনে এমন অনিয়ম হয়ে থাকলেও তারা দেখেও যেনো না দেখার ভান করে থাকেন।
পরিমানে কম দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে ডিলাররা বলেন, এক দিকে গুদাম থেকে ৫০ কেজির স্থলে ৪৭/৪৮ কেজি বস্তা দিয়ে থাকে। আরেক দিকে অফিসিয়াল কর্মকর্তারা চাউল বিতরণের সময় আসলে তাদেরকে নগদ হাদিয়া দিতে হয়। এ জন্য আমরা কিছুটা অনিয়ম করে থাকি।
দেখা গেছে, গতকাল ২১ এপ্রিল বুধবার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের ডিলার এমদাদ হোসেন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এবং সঠিক ওজনের মাধ্যমে কার্ডধারী ভোক্তাদের মাঝে চাউল বিতরণ করছেন।
এ প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, এসব অভিযোগগুলো ভবিষ্যতে যেনো আর না হয়, সে জন্য আমি মনিটরিং করবো।