চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনা-কাটায় ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ বন্ধ থাকার পরও জেলার অন্য উপজেলা থেকেও মার্কেটগুলোতে কেনা-কাটা করতে আসছে সাধারণ লোকজন। দোকান মালিক ও ক্রেতা সাধারণ মাস্ক না পড়েই চলে তাদের বিকি-কিনি। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ব্যবসা করছেন দোকানীরা। চলমান কঠোর বিধিনিষেধে দোকানপাট খোলা রাখার সুযোগে হাজীগঞ্জ বাজারের ফুটপাতেও বসেছে দোকান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলেও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
ক্রেতারা জানান, পরিবারের শিশু সদস্যদের আবদার মেটাতেই ঝুঁকি জেনেও কেনা-কাটা করতে হচ্ছে তাদের। তারা বলেন, গত ঈদে কিছু কেনা হয়নি, তাই এবার ওদের জন্য কিছু কেনা-কাটার জন্যই বের হয়েছি।
এদিকে ঈদ মৌসুমে কাক্সিক্ষত ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা। তাই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের দাবি তাদের। বিক্রেতারা বলেন, আমরা দোকানপাট খোলা রাখলেও তেমন ক্রেতা পাচ্ছি না। তবে গেলো বছরের ঈদের তুলনায় ভালো ক্রেতা আসছে।
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাটগুলো খোলা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে দেখা গেছে আগের মতোই জনসমাগম। তবে সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই দেখা যায়নি। এরই মধ্য দিয়ে চলছে ঈদের কেনা-কাটা। কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
দেখা গেছে, ঈদের কেনা-বেচায় জমে উঠেছে বিজনেস পার্ক শপিং কমপ্লেক্স, হাজীগঞ্জ প্লাজা, পৌর হকার্স মার্কেট, পৌর বিপণী বিতান, আল-মদিনা মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাপক সমাগম হচ্ছে।