চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে দেওয়ান কান্দিতে জমিতে গরু প্রবেশ করে ধান নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দেওয়ানী ও প্রধানীয়া বংশীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেওয়ান ও প্রধানীয়া বংশীয়দের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) হাসান আলী দেওয়ান (৭৪) ও জব্বার পাটওয়ারী (৭০) মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক। এর মধ্যে জব্বার পাটওয়ারীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
জানা যায়, ৮ মে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মাঝেরচর দেওয়ান কান্দি গ্রামের ফরিদ দেওয়ানের পাকাধানের ক্ষেতে প্রধানীয়া বাড়ির একটি গরু প্রবেশ করে ধান বিনষ্ট করে। দেওয়ান বাড়ির লোকজন ওই গরুটিকে ধরে বেঁধে রাখে। পরবর্তীতে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন প্রধানীয়ার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধভাবে লোকজন জড়ো হয়ে দেওয়ান বাড়িতে এসে বেঁধে রাখা গরু ছাড়িয়ে নিতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতÐার সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান আলী দেওয়ান ও পাটওয়ারী বাড়ির জব্বার পাটওয়ারী উভয়কে শান্ত করার চেষ্টা করলে, তাদেরও উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ইউপি সদস্য হাসান আলী দেওয়ানের মাথা ও শরীরের অন্যান্য স্থানে গুরুতর জখম হয়। জব্বার পাটওয়ারী বুকের পাজরের হাঁড় ভেঙ্গে যায়। হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়। এর মধ্যে জব্বার পাটওয়ারীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী সংঘর্ষের খবর জানতে পেরে তিনি দ্রæত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ছুটে এসে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগে আহতদের চিকিৎসা করানো হোক। তারা সুস্থ হলে আমরা উভয় পক্ষের মুরুব্বিদের নিয়ে বসার চেষ্টা করবো। যদি তারা সামাজিকভাবে মিমাংসায় যেতে চায়, আমরা তাই করবো। তাছাড়া আহতরা যদি আইনী আশ্রয় নিতে চায়, সেটাও তারা নিতে পারে।
সংঘর্ষে অন্যান্য আহতরা হলো : ওহাব আলী দেওয়ান (৬৮), সরাফত আলী দেওয়ান (৭৫), মুক্তার হোসেন দেওয়ান (৩০), নাজমুল হোসেন দেওয়ান (২৫), মহসিন প্রধানীয়া (৪০), হাকিম আলী পাটওয়ারী (৩০), আলমগীর প্রধানীয়া (২৫)। এরা সবাই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।