হাজীগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে গণধর্ষনের অভিযোগে ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে থানা পুলিশ। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদের বিশেষ অভিযানে ধর্ষন মামলার এজেহার নামীয় ২ ও ৪নং আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া এজেহার নামীয় আরো ২ আসামী পলাতক রয়েছে।
আটককৃতরা হলো : হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মাঝি বাড়ির মহিন উদ্দিন (২৬) ও একই বাড়ির মোহাম্মদ শাকিল হোসেন (২৪)।
পলাতক আসামীরা হলো : হাজীগঞ্জ পৌরসভার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের শুকু কমিশনার বাড়ির সহোদর দু’ ভাই ইসমাইল হোসেন (৩২) ও কালু (২১)। তারা দু’ ভাই ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২২ মে শনিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ‘নদীবাড়ি’ বিনোদন পার্কে ওই নারী ঘুরতে আসে। ওই সময় শাকিল নামের স্থানীয় বাসিন্দার সাথে পরিচয় হয়। তারই সূত্র ধরে সন্ধ্যার পর তারা ওই নারীকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বৈষ্টব বাড়ির বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ইসমাইল ও মহিন উদ্দিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শাকিলও তাদের কাছে ছিলো এবং ধর্ষণে সহযোগিতা করে। পরে ওই নারীকে একই রাতে শাকিলের খালার বাড়ি নোয়াদ্দা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে ইসমাইলের ভাই কালু ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এভাবে রাতভর ওই নারীকে নিয়ে এলাকার যুবকরা গণধর্ষণ করে। পরের দিন ২৩ মে রোববার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে জড়িতদের আটক করতে অভিযানে নামে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওইদিন রাতেই মামলার এজেহার নামীয় ২ আসামীকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ওই নারী হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়শরা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ২০ বছর। ছয় মাস পূর্বে তার স্বামী থেকে তালাক প্রাপ্ত হন। পলাতক আসামীদের আটক করতে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে ৩ জনকে ধর্ষণ এবং ১জনকে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় মামলা করা হয়েছে।