ফরিদগঞ্জে সাবেক জনপ্রতিনিধি নিজেই জমি দখলের অভিযোগ এনে আদালতের থেকে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এসে সেই জমি নিজেই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করে বলেন, তিনি সাবেক জনপ্রতিনিধি হয়েও আইন ও নিয়মকানুন জেনে কীভাবে তিনি আবার আদালতের অবমাননা করে জমি দখল করে? এটা কি আদালত অবমাননা নাকি? জমি দখলের কৌশল এমন প্রশ্ন তাদের মাঝে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের কড়ৈতুলি গ্রামের দারোগা বাড়িতে।
জানা যায়, সুলতানা আহামেদ দারোগা তিনি নিজ নামে জমি থেকে ১৯৮০ সালে এবং ১৯৮৫ সালে তার ছেলে মোস্তফা তপাদারকে ১৫৬ শতাংশ জমি হেবা করে করে দেয়। সেই জমি তার বড় ভাই আজিজুর রহমান গোপনে সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের কাছে বিক্রয় করেন। কিন্তু জমিটি র্দীঘদিন দখল করতে না পেরে সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির গত ১০ অক্টোবর ২০১৯ সালে আদালতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যা এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি নিজেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঐ জমি দখল করছে। এ নিয়ে এলাকাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় লোকজন।
জমির মালিক মোস্তফা তপদার বলেন, আমার বাবা সুলতানা আহামেদ দারোগা তিনি আমাকে তার ৫.৩১ শতাংশ জমি থেকে ১৫৬ শতাংশ জমি আমার নামে হেবা করেছেন। আমি এ জমি দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছি। সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির তিনি আমাদের সাথে জামেলা করার জন্য আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কম দামে জমি ক্রয় করে। সেই জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করে সে ব্যর্থ হয়ে। পরে সে কোনোভাবে না পেরে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তিনি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি নিজেই জোর করে সেই জমি আবার দখল করার চেষ্টা করে। আমি বারবার থানায় অভিযোগ করছি, কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ চলে গেলে তারা আবার কাজ শুরু করে। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান হয়ে কীভাবে আইন যেনে-শুনে আবার আইন ভঙ্গ করে। এটাই আমার প্রশ্ন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল।
সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, এ জমি আমি তার ভাইয়ের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। আর সেই জমিতে আমি কাজ করছি। আদালতের অবমাননা আমি করি না। সেটা আলাদা জমি।
থানার এসআই জামসেদ বলেন, আমি জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়ে এসেছি। যে যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকার কথা বলে দিয়েছি। আমি শুনেছি হুমায়ুন কবির চেয়ারম্যান নাকি জমি দখল করছে। আমি ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। কাউকে পাওয়া যায়নি। আমি দু’ পক্ষকে বলেছি, যাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য না করে।