হাইমচর উপজেলায় প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে জ্বরের প্রাদুর্ভাব। উপজেলার ৬ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর ও কাঁশিতে আক্রান্ত হয়ে ঘরোয়াভাবে চিকিৎিসা নিচ্ছে লোকজন।
এ জ্বর ও কাঁশিতে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পায়নি। জ্বরের রোগী আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় করোনাভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।একই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে হাইমচর উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া করোনা শনাক্তের ভয়ে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ২৮ জুলাই বুধবার ১ বছরের শিশুসহ ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে হাইমচর উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪০২ জন। তবে নমুনা দিতে মানুষের অনীহা থাকায় উপজেলায় করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
আলগী বাজার পল্লী চিকিৎসক টিটু বলেন, আমাদের এখানে দৈনিক ৪০ জন রোগী আসলে তার মধ্যে ৩০-৩৫ জনই জ্বর-কাঁশিতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যে কিছু রোগী আসে আশংকাজনক। আমরা তাদের হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য বলি। তবে কোনো রোগীকে যদি করোনার নমুনা দেয়ার জন্য বলি, তারা করোনার পরীক্ষা করাতে অনিহা প্রকাশ করে।