চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণে উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রাঙ্গণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরম প্রেমময় ভগবান শ্রী শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাবির্ভাব উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৩০ আগস্ট রোজ সোমবার মন্দির প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় কেক কাটার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথির শুভারম্ভ করেন মন্দিরে নিযুক্ত নিয়মিত সেবাইত ব্রাহ্মন বাবু অজিত কুমার চক্রবর্তী।
ইতিহাস পর্যবেক্ষণে জানা যায় যে, আজ হিন্দু ধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। এই তিথিতে কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আজ হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব-শুভ জন্মাষ্টমী।
শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন দেবকি ও বাসুদেব এর সন্তান এবং হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তাঁর জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারিদিকে অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সেই সময় মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। সর্বত্র ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার।
শ্রীকৃষ্ণের মামা কংস ছিলেন তাঁর জীবনের শত্রু। মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সাথে সাথে সেই রাতে তাঁর বাবা বাসুদেব তাঁকে যমুনা নদী পার করে গোকুলে পালক মাতা পিতা যশোদা ও নন্দর কাছে রেখে আসেন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই তাদের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আগমন করেন।
উল্লেখ্য যে, করোনা মহামারির কারনে এবারের জন্মাষ্টমী উৎসবে সব ধরনের শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়
প্রতিবছর উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পরে থাকে।
এসময় মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মতলব দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মতলব দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ, মতলব পৌর সভার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, মতলব বাজার শ্রী শ্রী জগনাথ দেব মন্দিরের নেতৃবৃন্দসহ আগত ভক্তবৃন্দগণ।