‘এসো মিলি মুক্তির মোহনায়’ শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারন করে ৮ ডিসেম্বর থেকে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামের নতুন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত বিজয় মেলার মাঠে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য গেছে। এ বছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গৌরবের ৩০ বছর।
৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিজয় মেলার দ্বিতীয় দিন বিকেল থেকে মেলা মাঠে তরুণ প্রজন্মসহ লোকে লোকারণ্য ছিলো। বিজয় মেলায় আসা মানুষজন স্মৃতি সংরক্ষণ স্টল ঘুরে ঘুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থিরচিত্রগুলো দেখে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানছে। এ বছর আউটার স্টেডিয়ামে বিজয় মেলা হওয়ায় আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি। বড় পরিসরে বিজয় মেলা করা হচ্ছে। আবার অনেকে বিকালের নিরব পরিবেশে মেলা মাঠের দোকান ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দ মতো পণ্যসামগ্রি কিনতে দেখা যায়। এ বছর কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাক প্রাথমিক পরীক্ষা না থাকায় অভিবাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বিজয় মেলা মাঠে ছুটে আসছে। শিশুদের জন্য মেলা মাঠে স্থাপিত বিনোদনের রাইডারগুলোতে চড়তে শিশুরা ব্যতিব্যস্ত।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে প্রতিদিন চলছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক। এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে অংশ নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে মেলা মাঠের বিশাল আয়োজনে চোখে পড়ে জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ও গেইট।
শুধু তাই নয়, আয়োজকরা এ বছর বিশাল মঞ্চ এবং দর্শক সারির আয়তনও বৃদ্ধি করেছে। পুরো মঞ্চটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্থিরচিত্রসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশরতœ শেখ হাসিনার ছবি শোভা পাচ্ছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চাঁদপুর থিয়েটার ফোরাম-এর নেপথ্য ব্যবস্থাপনায় ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় মেলা মঞ্চে পরিবেশিত হবে নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠান। এ জন্য চাঁদপুর জেলা শহরের প্রায় ৪২টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ১২টি নাট্যসংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। পুরো মাঠ জুড়ে নিরাপত্তার বেস্টুনি রয়েছে। এমনকি বিজয় মেলা মাঠকে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। মেলার ভেতরে এবং বাইরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা হলে সাথে সাথে তা শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দেয়া হবে।