বেশি মাংস পাওয়া যাবে, এমন গরুর চিন্তা থেকে সরে আসা মানুষদের চাহিদা মেটাতে হাজীগঞ্জে এখন দেশি জাতের গরুর হাট বসিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, আগে মানুষ শুধু কোন্ গরুতে মাংস বেশি হবে, সেসব গরু কিনতো। গত ক’বছর ধরে দেশি গরু চাচ্ছে ক্রেতারা।
হাজীগঞ্জ উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেলো, দেশি জাতের গরু বেশি। দু’একটি বিদেশি গরু দেখা গেলেও তা মিশ্র জাতের। হাজীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর, ধড্ডা, পালিশারা অস্থায়ী পশুরহাটে বিভিন্ন জাতের দেশি গরু দেখা মিলেছে। আর ক্রেতা সাধারণও ঝোঁক দেশি জাতের গরুর দিকে। এবার দাম বেশি হলেও পছন্দনুযায়ী গরু ক্রয় করছেন তারা। এসব হাটগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনা এবার কোরবানিতে বিদেশী গরু দেখা মিলেছে অনেক কম।
এসব বাজারে চট্টগ্রামের লাল গরু, নর্থবেঙ্গল গ্রে-ক্যাটল, পাবনা ও কুষ্টিয়ার কিছু দেশি জাতের গরু দেখা গেছে। পিরোজপুর বাজারে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় সবগুলো গরুই দেশি। বাজারে সবাই এসে গরু দেখছে, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম। তবে শেষ বাজারে চাহিদানুযায়ী বিক্রি হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
কোরবানির হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, পুলিশ সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে, কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়। জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিনও রয়েছে হাটগুলোতে। সে সাথে কেউ যদি আমাদের সহায়তা চায়, আমরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।