জ্যৈষ্ঠ মাসের খরতাপ। কারো পাকে আম-কাঠাল, কারো জীবন বিপাকে। কৃষকদের জন্য মহাবিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ উষ্ণতা। ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়েছে।
সূর্য তেঁতে ওঠায় কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। ঘরে-বাইরে সবখানে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের বেলায় ঠাটাভাঙ্গা/কাঠফাঁটা রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিলেও লিলুয়া হাওয়ায় সেখানেও মিলছে না স্বস্তি।
শ্রমজীবীসহ সকল পেশার মানুষের অবস্থাও বেশ রুক্ষ। ঘামে ভেজা মানুষ খানিকটা স্তস্তির খোঁজ করলেও মিলছে না সেই স্বস্তি। হাইমচর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র আলগী বাজারে অটো কিংবা সিএনজিতে চলাচলকারী যাত্রীদেরও ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যাত্রী নিয়ে ছুটে চলা প্রতিটি যানবাহনের ভেতরে উনুনের মত উত্তাপ। ঘেমে একাকার যাত্রীরা।
২৩ মে রোববার হাইমচরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ছিল গ্রামবাসী। আজ চট্টগ্রাম বিভাগে মৃদু বাতাশ ও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে হাইমচর উপজেলার অফিসগামী মানুষ গরম উপেক্ষা করে সকালে অফিসে পৌঁছালেও শান্তির ছোঁয়া পায়নি দিনমজুর ও পেশাদার শ্রেণির মানুষ। রিকশা চালক, পরিবহন শ্রমিক, রংমিস্ত্রী, ঢালাই শ্রমিক থেকে শুরু করে ফুটপাতের ব্যবসায়ী এমনকি ভিক্ষুকরাও নাকাল হয়ে পড়েছেন তীব্র গরমে। পথের পাশে একটু ছায়া পেলেই সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন মানুষ।
উত্তাপের কারণে ঘরের ভেতরেও থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। প্রচÐ গরমে হাইমচরে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এ জনজীবনে অস্তিত্ব। ফ্যান থাকলেও গরম বাতাসে গা ভিজে যাচ্ছে। দিনের বেলায় বাইরে থাকা আরও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গরমের কারণে বেশি সময় যাত্রী পরিবহন করতে পারছেন না রিকশাচালকরা। দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে চাইলেও ভাড়া হাঁকছেন বেশি। রিকশা চালকদের ভাষ্য, গরমের কারণে তাদের মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে।